ভারতের কর্মস্থান গুলোতে লিঙ্গ সমতা এবং প্রগতিশীল মানসিকতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, নিম্ন আয়ের পরিবারের মহিলাদের আরও বেশি করে কর্মসংস্থানগুলো দখল করা দরকার। অর্থনৈতিক দৃষ্টি থেকেও, কর্মক্ষেত্রে মহিলা এবং পুরুষের সমান যোগদান হলে, ভারতের GDP 27 শতাংশ অবধি বৃদ্ধি পেতে পারে। কিন্তু ভারতীয় মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ ক্রমশ কমছে। 2005 এবং 2019-এর মধ্যে, ভারতে মহিলাদের কর্মশক্তির অংশগ্রহণ 45 শতাংশ থেকে 27 শতাংশে নেমে এসেছে।
আমাদের দেশে 354 মিলিয়ন কর্মজীবী মহিলা আছেন, যাদের মধ্যে 128 মিলিয়ন মহিলা শহুরে। আপাতত তাদের মধ্যে মাত্র 20 শতাংশ মহিলা কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করছেন। কর্ম বয়সী শহুরে ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে 83 শতাংশ মহিলা নিম্ন আয়ের পরিবারের সদস্য। এই নিম্ন আয়ের পরিবারের মহিলাদের মধ্যে 85 শতাংশ মহিলা কলেজে যাননি, এবং 50 শতাংশেরও বেশি মহিলা দশম শ্রেণীর পরীক্ষা (মাধ্যমিক) পাস করেননি। তাই কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণ বেশি করে বাড়ানোর জন্য, নিম্ন-আয় এবং নিম্ন-শিক্ষিত মহিলাদের লাভজনক চাকরি দিতে হবে।
কোন কোন বাধা ভারতীয় মহিলাদের মূলধারার কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে দেয় না?
এই প্রশ্নের উত্তরে প্রথমেই বলা দরকার যে একজন মহিলার পরিবার তার বেড়ে ওঠা এবং চিন্তা ধারণার ওপর বিপুল প্রভাব তৈরী করে। মহিলাদের ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার তাঁদের পরিবারের বাধ্যবাধকতা এবং বিশ্বাসের সাথে সম্পূর্ণ ভাবে জড়িত। সমাজ এবং পরিবার তাদের উপর নানান বাধা সৃষ্টি করে এবং মহিলাদের চিন্তাধারাকে আঘাত করে।
কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ বা লিঙ্গ অনুযায়ী মজুরি ব্যবধান এবং অনুরূপ পরিসংখ্যানের উপর অনেক প্রাথমিক গবেষণা হওয়া সত্ত্বেও ,কেন মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে রাখা হচ্ছে? একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের প্রতি তাদের পছন্দগুলি কী তা সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বোঝাপড়া তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ।
FSG-এর কর্মী দলের পক্ষ থেকে আমরা 14 টি রাজ্যের 16 টি শহরের নিম্ন আয়ের পরিবারের 6,600 জন কর্ম বয়সী মহিলার সাথে সাক্ষাৎকার করেছি। আমরা মহিলাদের ধারণা, প্রেরণা, তাদের কাজের এবং কর্মক্ষেত্রের পছন্দ বোঝার চেষ্টা করেছি। আমাদের রিপোর্টের কিছু প্রধান অন্তর্দৃষ্টি প্রস্তুত করছি:
1. এখনো মহিলাদের কাজে যাওয়ার জন্য পুরুষদের অনুমতি নিতে হয়ে
আমাদের রিপোর্ট অনুযায়ী 84 শতাংশমহিলাদের কাজে যাওয়ার জন্য পরিবারের পুরুষ বা স্বামীর অনুমতি নিতে হয়। যে মহিলারা কাজে যান না, তাদের 3 জনের 1 জন পরিবারের পুরুষ বা স্বামীর অনুমতি না পাওয়ায় ঘরে বসে রয়েছেন।
2. সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের মনোভাব তত্ত্বগতভাবে প্রগতিশীল, বাস্তবে নয়
আমরা একজন মহিলার পরিবারের মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীকে পরিবারের সদস্য হিসাবে চিহ্নিত করেছি যার কাছ থেকে তাকে চাকরি বা ব্যবসা করার জন্য অনুমতি নিতে হবে। 90 শতাংশেরও বেশি মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী একমত যে একজন মহিলার আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য অবশ্যই একটি চাকরি থাকতে হবে এবং একজন কর্মজীবী মহিলা পরিবারের প্রতিপত্তি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু যখন তাদের পরিবারের নারীদের কথা আসে, চারজনের মধ্যে একজন বিশ্বাস করে যে নারীদের একেবারেই কাজ করা উচিত নয় এবং বাকিদের 72 শতাংশ বিশ্বাস করে যে নারীদের শুধুমাত্র ঘর থেকে কাজ করা উচিত বা গৃহস্থালির কাজে আরও সময় দেওয়ার জন্য একটি ছোট ব্যবসায় জড়িত হওয়া উচিত।
3. মহিলারা পরিবারের অনুমতির সাথে নয়, অনুমতি ছাড়াই কাজ করছেন
একজন কর্মজীবী মহিলার পরিবারেও, 41 শতাংশ মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা বিশ্বাস করেন যে বাড়ির বাইরে কর্মরত মহিলারা তাদের পরিবার এবং বাড়ির বিষয়ে কম যত্ন নেন, 21 শতাংশ পছন্দ করেন যে তাদের বাড়ির মহিলারা একেবারেই কাজ করেন না এবং 77 শতাংশ পছন্দ করেন যে তারা বাড়ি থেকে কাজ করুন বা একটি ছোট ব্যবসা চালান যাতে তারা বাড়িতে আরও বেশি সময় কাটাতে পারে।
গৃহস্থালির কাজ এবং শিশু যত্নের বোঝাও অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে মহিলাদের উপর পড়ে। কর্মজীবী এবং অ-কর্মজীবী উভয় নারীই রান্না, পরিষ্কার করা এবং ধোয়ার মতো পরিবারের দায়িত্বে চার ঘণ্টার বেশি সময় ব্যয় করে। এর মধ্যে এমন কোনো সময় অন্তর্ভুক্ত নয় যা একটি শিশুর যত্ন নেওয়া, বাড়ির কাজে সাহায্য করা, বা স্কুলে বা থেকে শিশুকে ড্রপ করা এবং/অথবা তুলে নেওয়ার জন্য ব্যয় করা যেতে পারে। অন্যদিকে, শহুরে ভারতীয় পুরুষরা প্রতিদিন গড়ে 25 মিনিট, পরিবারের দায়িত্বে ব্যয় করে।
4. শিশুর যত্ন মহিলার দায়িত্ব বলে মনে করা হয়
বেশির ভাগ মহিলারা বিশ্বাস করেন যে মায়েদের বাইরেও কাজে যাওয়া উচিত, কিন্তু পুরুষরা তা মানেনা। আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে যে 44 শতাংশ মায়েরা ঘরের বাইরে কাজ করতে চান। এমনকি যাদের সন্তান 6 বছরের থেকে ছোট, সেই মায়েদের 52 শতাংশও বাইরে কাজ করতে চান। বিপরীতে, 61 শতাংশ স্বামীরা বিশ্বাস করেন যে ছয় বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের মায়েদের বাড়ির বাইরে চাকরি খোঁজা উচিত নয়।
5. বেশির ভাগ ভারতীয় শহুরে মায়েরা বাচ্চাদের ডে-কেয়ার সেন্টারে পাঠাতে চান না
12 বছর বা তার কম বয়সী শিশুদের জন্য, 1 শতাংশেরও কম কর্মজীবী মা (বর্তমান বা প্রাক্তন) অর্থের বিনিময়ে শিশু যত্ন পরিষেবাগুলি ব্যবহার করেছেন। তাদের কর্মসংস্থানের অবস্থা নির্বিশেষে, 89 শতাংশ মা পেইড ডে কেয়ার বিবেচনা করতে ইচ্ছুক নন কারণ 41 শতাংশ বিশ্বাস করেন যে শিশুদের যত্ন নেওয়া তাদের নিজস্ব কাজ, এবং 38 শতাংশ ডে-কেয়ার পরিষেবাগুলিতে বিশ্বাস করেন না। অধিকন্তু, 75 শতাংশ মূল সিদ্ধান্তগ্রহণকারীরা বাচ্চাদের পেইড ডে কেয়ারে পাঠানোর অনুমতি দেবেন না।
পেইড ডে কেয়ার বিবেচনা না করার জন্য ক্রয়ক্ষমতার অভাব শুধুমাত্র একটি মূল কারণ নয়। 15 শতাংশ মা এবং 1 শতাংশ মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা পেইড ডে কেয়ার বেছে না নেওয়ার কারণ হিসাবে ক্রয়ক্ষমতার অভাবকে উল্লেখ করেছেন। এই 15 শতাংশের মধ্যে অর্ধেক তাদের সন্তানদের একটি অঙ্গনওয়াড়িতেও পাঠাতে অনাগ্রহের কথা উল্লেখ করে (একটি বিনামূল্যের দিবা-যত্ন পরিষেবা যা দিনের বেলা সীমিত ঘন্টার জন্য সরকার প্রদত্ত।)।এর কারণগুলির মধ্যে রয়েছে অনিরাপদ পরিস্থিতি এবং এই বিশ্বাস যে এখানে পরিবারের মতো যত্ন দেওয়া হয় না।
6. মহিলাদের শুধুমাত্র লিঙ্গভিত্তিক কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়
মোটামুটি 30 শতাংশ মহিলারা কোনো না কোনো কাজের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে 85 শতাংশ মহিলারা শুধুমাত্র “মেয়েলি” কাজ যেমন সেলাই করা, দর্জির কাজ, মেক-আপ বা সাজগোজের কাজ করার শিক্ষা পেয়েছেন। কিন্তু এমন অনেক নিম্ন শিক্ষিত বা নিম্ন রোজগারের মহিলা আছেন যারা নতুন ধরণের কাজ কর্ম করতে চান। প্রতি 2 জনের 1 জন মহিলা এমন জায়গাতেও কাজ করতে রাজি আছেন যেখানে 90 শতাংশ কর্মী শুধুই পুরুষেরা। 42 শতাংশ মহিলা সরাসরি গ্রাহকদের জিনিসপত্র বিক্রি করতে রাজি এবং 72 শতাংশ মহিলারা 15 কেজি অবধি ওজন ওঠাতে পারবেন বলে বিশ্বাস করেন|
7. বেশিরভাগ মহিলা চাকরি চান, ব্যবসা নয়
প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা মনে করেন যে তাদের নিজের পরিবারের মহিলারা যদি একটি ছোট ব্যবসা পরিচালনা করেন তবে তারা বাড়িতে আরও বেশি সময় কাটাতে সক্ষম হবেন। যাইহোক, 59 শতাংশ নারী উদ্যোক্তা হওয়ার চেয়ে চাকরি পছন্দ করেন, যেমন প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ নারী যারা কাজ করতে চান। তাছাড়া 93 শতাংশ নারী দৈনিক মজুরির চেয়ে নির্দিষ্ট বেতন পছন্দ করেন।
এতো সব বাধা ব্যবধান সত্ত্বেও, মহিলারা বাড়ির বাইরে কাজ করতে চান
আমাদের গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় যে 33 শতাংশ বাড়িতে থাকা মহিলারা বাইরে কাজ করতে চান। প্রতি 2 জনের মধ্যে 1 জন মহিলা নয় বাইরে কাজ করছেন, বা কোনো চাকরি খুঁজছেন। 64 শতাংশ মহিলার বিশ্বাস করেন যে আত্মনির্ভর হতে তাদের চাকরি করা একান্ত প্রয়োজন। 52 শতাংশ কর্মরত মহিলারা তাদের কাজ করতে পছন্দ করেন এবং 90 শতাংশ মহিলারা স্বীকার করেন যে মহিলাদের বাইরে কাজ করা উচিত।
আজকের সমাজে আরো বেশি সংখ্যায় মেয়েরা শিক্ষা পাচ্ছে। তারা তাদের কর্মক্ষমতার উপর ভরসা রাখতে শিখছে। 90 শতাংশ মেয়েরা এই কারণে চাকরি করেন বা চাকরি চান যাতে তারা তাদের পরিবারের খরচ চালাতে পারেন। যদিও মহিলারা আর্থিক কারণে কাজ শুরু করেন, কিন্তু তারা আয় বাড়ার পরেও চাকরি চালিয়ে যেতে চান। যদিও 20 শতাংশ মহিলারা বলেন যে তারা পরিবারে আয় বৃদ্ধি হলে চাকরি ছেড়ে দেবেন, কিন্তু প্রায় 80 শতাংশ মহিলারা অবসরের বয়স পর্যন্ত বা যত দিন শরীর দেয় ততদিন তারা কাজ করতে চান। যে মহিলারা এখন চাকরি খুঁজছেন, তাদের মধ্যে মাত্র 32 শতাংশ কেবলমাত্র পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতির জন্য কাজ করতে চান।
যদিও কতগুলো অকেজো সামাজিক নিয়ম, গভীর পক্ষপাত এবং বাচ্চাদের দেখাশোনার এক তরফা দায়িত্ব কর্মরত মহিলাদের অস্থির করে রাখে, তাদের কর্মস্থান থেকে দূরে রাখে, তবে এর ভিন্ন ধরণের প্রভাব প্রতিটি মহিলার উপর আলাদা ভাবে দেখা যায়। যেই মহিলাদের সন্তান নেই, বা যাদের ছেলেমেয়ে বড় হয়ে গেছে, বা যারা অন্য কর্মরত মহিলাদের আসে পাশে থাকেন এবং দেখেন, তাদের চাকরি করার প্রবণতা বা সুযোগ বেশি।
আমরা কিভাবে একসাথে এই বাধাগুলোকে ভাঙতে পারি?
আমাদের সবাইকে এই ক্ষেত্রে এক সাথে চেষ্টা করতে হবে যাতে মহিলারা অনায়াসে চাকরি পেতে পারেন, কাজে যেতে পারেন, এবং মন দিয়ে কাজ করতে পারেন । স্বামী এবং পরিবার জনেরা সাহায্য করলে মহিলাদের চাকরি করা সহজ হয়ে যায়। পরিবার জনের মহিলাদের চাহিদা অনুমান করা এড়িয়ে চলা উচিত, নানান কাজে সাহায্য করা এবং তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করা উচিত। কোম্পানি গুলোর তরফ থেকে সক্রিয়ভাবে এটা বোঝা দরকার যে মহিলারা কাজে আসলে তাদেরই কোম্পানি বা ব্যবসার লাভ হয়। এই ক্ষেত্রে তাদের পুরুষ কর্মীদের বোঝানো এবং পক্ষপাত এড়ানোর শিক্ষা দেয়া উচিত। সরকারের দায়িত্ব নিয়ে আরো বেশি প্রগতিশীল নীতি কর্মক্ষেত্রে আনা উচিত, যেমন কিনা নতুন মায়েদের সাথে নতুন বাবাদেরও অভিভাবক হিসেবে বেতনের ছুটি দেওয়া। সামাজিক কাজের এবং মানবপ্রীতি সংস্থানগুলোর তরফ থেকে জন উদ্দেশে নানান ধরণের ক্যাম্পেইন বা বিজ্ঞাপন বানানো দরকার যাতে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে যে ছেলেয়েমেয়ের দেখাশোনা মা এবং বাবা দুজনেরই কাজ। এই মুহূর্তে আমাদের সঠিক বার্তার এবং সকলের চিন্তা ভাবনা একসাথে পাল্টানোর প্রয়োজন।
আমাদের গবেষণার এই সমস্ত তথ্যের আধারে, FSG গ্রোইং লাইভলিহুড অপর্চুনিটিজ ফর ওমেন (GLOW) নামের একটি কর্মসূচি লাগু করেছে, যার মাধ্যমে ১ মিলিয়ন নিম্নআয়ের পরিবারের মহিলাদের মূলধারার কাজে এবং চাকরিতে নিযুক্ত করা হব। আমরা কোম্পানি গুলোর সাথে কাজ করছি যাতে তারা তাদের নীতি, চিন্তাধারা এবং অভ্যাসগুলো পাল্টাতে পারে এবং মহিলাদের কাজে আসতে সাহায্য করে।
বর্তমান লিঙ্গ-বৈষম্যহীন ব্যবস্থা হল আমাদের সম্মিলিত পছন্দ এবং মনোভাবের একটি ফলাফল,। তাই এটা আমাদের দায়িত্ব যে আমরা প্রগতিশীল এবং সঠিক বিচার অবলম্বন করে ভারতবর্ষ কে একটি লিঙ্গভেদহীন সমাজ এবং কর্মক্ষেত্রে পরিণত করি।
এই নিবন্ধটি জুন ইংরেজি থেকে অনুবাদ এবং সম্পাদিত করেছেন, এবং কৃষ্টি কর পর্যালোচনা করেছেন।
—
আরও জানুন
- এখানে বিস্তারিত গবেষণার রিপোর্ট পড়ুন এখানে।
- ওমেন ইন লেবর পডকাস্ট শুনুন যাতে মহিলাদের অধিকার, কাজ, পরিবার ও ক্ষমতা নিয়ে চর্চা হয়।
- এই প্রবন্ধটি পড়ুন যেখানে বোঝানো হয়ে কিভাবে ক্ষতিকারক লিঙ্গ ভেদ মহিলাদের জন্য তৈরী কর্মসূচীগুলোকেও অকেজো করে তোলে।