আমার জন্ম পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি গ্রামে। আমাদের সাঁওতাল সম্প্রদায় ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা একটি যাযাবর উপজাতি।
প্রায় চার বছর বয়স পর্যন্ত আমি বাবা-মা এবং ভাইবোনদের সাথে বেলপাহাড়িতে থাকতাম । তার পর লেখাপড়া শেষ করানোর অভিপ্রায়ে, আমার বোন এবং আমাকে কলকাতায় আমাদের বৃহত্তর পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছিল।
এই পরিবর্তন আমার জন্য সহজ ছিল না। যদিও কলকাতা শহরে আরাম এবং সুযোগসুবিধা যথেষ্ট ছিল, সেখানে বাবা-মা এবং আমাদের সম্প্রদায়ের সাহচর্যের অভাব খুবই বোধ করতাম। ভাষাও এক বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সাঁওতালি ছিল আমার প্রাথমিক ভাষা, এবং আমরা বাড়িতেও তাতেই কথা বলি। তাই স্কুলের জন্য বাংলা শিখতে হয়েছিল।
সেই সময়, রেডিও নামে যে একটি বস্তু আছে, তা আমি হঠাৎই আবিষ্কার করি। এর পর থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাঁওতালি ভাষায় গান ও কথোপকথনের ‘সাঁওতালি আখড়া’ অনুষ্ঠান শুনতাম। এমনকী কোনও কোনও সময় আমার বোনের জন্য সংবাদ পাঠক অথবা রেডিও জকি (RJ) সাজতাম। খুব তাড়াতাড়ি রেডিও আমাদের নিজ-সম্প্রদায়ের সাথে সংযুক্ত থাকার একটি মাধ্যম হয়ে ওঠে। এর ফলে, কলকাতায় বসবাসের একাকীত্ব ও বিচ্ছিন্নতা কিছুটা দূর হয়।
এরপর, দীর্ঘদিন রেডিওই ছিল আমাদের একমাত্র বিনোদনের মাধ্যম। পরবর্তীকালে টেলিভিশন আসলেও রেডিওই ছিল আমার প্রিয়। আমি অবাক হয়ে ভাবতাম, কীভাবে একজন আর.জে., নিজের অদৃশ্যতা সত্ত্বেও এত লোকের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন। ক্রমে ইচ্ছে জন্মাল যে, আমিও একদিন আর.জে. হব।
রেডিওরপথ
স্কুল পার করার পর, আমি বাবা-মাকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে, আমি জনসঞ্চার নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই, এবং ভবিষ্যতে আর.জে. হতে চাই। তাঁরা শুরুতেই এই ধারণার বিপক্ষে ছিলেন। আমার বাবা-মা চেয়েছিলেন যে, আমি এমন একটি ক্যারিয়ার গড়ি যা আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। কিন্তু বাবা-মা-এর অনুৎসাহ আমাকে স্বপ্ন দেখা থেকে বিরত করেনি।
একটি শিপবিল্ডিং এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির অ্যাপ্রেন্টিসশিপ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে নিতে ফেসবুকে পোস্ট দেখলাম যে, ঝাড়গ্রামে নতুন একটি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেল—রেডিও মিলন—চালু হচ্ছে ৷ পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে তারা সাঁওতালি ভাষা-ভাষী আর.জে. খুঁজছেন । আমি অবিলম্বে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিলাম। তখন জানতাম না যে, এই চাকরি পাওয়ার অর্থ, ভারতের প্রথম সাঁওতালি আর.জে. হওয়া। এর গুরুত্ব আমি অনেক পরে বুঝেছি, যখন মিডিয়াতে বিভিন্ন ভাষা এবং সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বের প্রেক্ষাপটে আমার সম্পর্কে একটি নিবন্ধ ছাপা হয়।
আমি প্রথম যে রেডিও অনুষ্ঠানটি হোস্ট করেছিলাম, তার নাম ছিল ‘জোহর ঝাড়গ্রাম’ (গ্রিটিংস ঝাড়গ্রাম)। শোটি ছিল সাঁওতালি সংস্কৃতি এবং রীতিনীতি-বিষয়ক। তারই সঙ্গে ছিল সাঁওতাল সম্প্রদায়ের বর্তমান অবস্থার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা—যেমন তাদের স্বপ্ন, বা তারা কী কী সমস্যার মুখোমুখি হয় ইত্যাদি। এই শো ক্রমে সম্প্রদায়ের মানুষের একত্রিত করে, যা হয়তো শারীরিকভাবে তাঁদের পক্ষে সহজ হত না।
যা হোক, এই কাজ যে সম্পূর্ণ মসৃণ ছিল, তা নয়। বহুবছর গ্রামের বাইরে কাটিয়ে আমি সত্যিই সাঁওতালি জীবনধারা, ভাষা, বা ঐতিহ্যের খুব একটা সংস্পর্শে ছিলাম না । যেমন, শুরুর দিকে, আমার নড়বড়ে উচ্চারণ নিয়ে অভিযোগ এসেছে। সাঁওতালির জন্য ব্যবহৃত অল চিকি লিপিতে আমরা যে চিঠিপত্র পেয়েছি, তা আমি পড়তে পারতাম না । যদিও এতে প্রথমে কিছুটা ধাক্কা লেগেছিল, তবুও আমি আটকে থাকিনি। অবসর সময় পেলেই, সাঁওতালি উপজাতি—আমার সম্প্রদায়—সম্বন্ধে বিভিন্ন জায়গা থেকে শেখার চেষ্টা করতাম। যদিও এই বিষয়ে বই বা পত্র-পত্রিকা কমই ছিল, সাঁওতাল উপজাতির ইতিহাস সম্পর্কে যাবতীয় কিছু পড়তাম। তবে, সবচেয়ে বেশি শিখেছি আমাদের গ্রামের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে, যোগাযোগ করে—যা কিনা কেবল বই পড়ে হত না । বেলপাহাড়ির প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাঁদের জীবনের অভিজ্ঞতা, তাঁদের আশা ও স্বপ্ন নিয়ে কথা বলেছি। গ্রামের বাজারে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতাম। খুঁটিয়ে দেখতাম, মানুষ কিভাবে একে অপরের সঙ্গে কথা বলে। যা দেখতাম, নোটবুকে লিখে নিতাম। বাড়িতে, বাহা পরবের মতো সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান এবং উৎসবে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে শুরু করলাম। বসন্তকাল, ও নতুন কৃষি-বৎসরের শুরুতে, আমরা বোঙ্গাদের ( সাঁওতালি ধর্মে আধ্যাত্মিক প্রাণী) ফুল নিবেদন করে তাঁদের আশীর্বাদ চাই। আরও চাই, ফসলের সুরক্ষা। এসবের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ফসল কাটার উৎসব সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারলাম, যার নাম সোহরাই। দীপাবলির সময় দিয়েই অনুষ্ঠিত হয়। ফসল কাটা উদযাপন করতে এবং নতুন ফসলকে স্বাগত জানাতে মেয়েরা আলপনা দিয়ে ঘর সাজায়। তার মাধ্যমে গবাদি পশুকে সম্মান জানানো হয়।
রীতিনীতি, সংস্কৃতি-নিরীক্ষণ, ও মানুষের সাথে মেলামেশা আমাকে হাতে-কলমে শিখতে সাহায্য করেছে। তার ফলে আমি শক্তপোক্তভাবে আমার প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছি। তাদের গল্প, এবং তাদের সত্যকে তুলে ধরতে পেরেছি, সততার সঙ্গে।
অ্যাডভোকেসি এবং সচেতনতার জন্য রেডিও
‘জোহর ঝাড়গ্রাম’ অনুষ্ঠানে আমি প্রায়ই বিভিন্ন অতিথিদের আমন্ত্রণ জানাতাম তাদের সম্প্রদায়ের অবস্থা এবং তাঁদের যে কোনও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে। শ্রোতারাও দূরভাষে তাদের নানান সমস্যা জানাতেন।
তাঁদের সঙ্গে এই যোগাযোগ, এবং নিজের উপলব্ধি ও পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে শোগুলির স্ক্রিপ্ট লেখার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন আমাকে কর্তৃপক্ষ। আমার মনে হয়েছিল যে, এর ফলে শ্রোতারা অনুষ্ঠানটির সঙ্গে নিজেদের মেলাতে পারবেন। সবচেয়ে সফল অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি ছিল—যা নিয়ে আমি বিশেষভাবে গর্বিত বোধ করি—ইন্তেজার করনা (অপেক্ষা করা)। এই থিমটি যা ভেবে বাছা হয়েছিল তা হল—অপেক্ষা এমন এক বিষয়, যার সঙ্গে প্রত্যেকে পরিচিত। কারণ, আমরা সবাই, সবসময় কিছু না কিছু ঘটার অপেক্ষা করি। অপেক্ষা শুরু হয় শৈশব থেকেই – প্রথমে বড় হওয়ার, তার পরে স্নাতক হওয়ার, তারও পরে জীবন গড়ার। আমরা যেন অপেক্ষায় থাকি যে, আমাদের, বা, আমাদের জন্য কিছু হবে।
নারী দিবসের অনুষ্ঠানও ছিল আমার খুব প্রিয়। এটি করার সিদ্ধান্তের পিছনে এই অনুভূতি ছিল যে, এই দিনটিকে নিয়ে যত শোরগোল, তার পুরটাই যেন দেখনাই। তাতে বিশেষ খুব একটা কিছু পদার্থ নেই। দিনটি উদযাপিত হলেও, বাস্তবে নারীর অবস্থার তেমন কিছু পরিবর্তন ঘটেনি। যেমন, আমাদের এলাকায় মহিলারা সহজেই মদ বিক্রির কাজে যোগ দেন। এই অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে, আমার প্রচেষ্টা ছিল অন্যান্য আরও অনেক জীবিকার বিষয়ে তাদের মধ্যে সচেতনতা বিস্তার করা, যা হয়তো তাঁদের জানা নেই। উদ্দেশ্য ছিল রোজগারের নানান সম্ভাব্য উৎস সম্পর্কে অবহিত করা।
এসবের সম্পর্কে নানা মানুষের কাছ থেকে পাওয়া প্রতিক্রিয়ায় আমি বোধ করেছি যে, সত্যিই হয়তো আমি সাঁওতাল সম্প্রদায়ের জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু তৈরি করতে পেরেছি। রেডিওর মাধ্যমে, অবয়বহীন এক কণ্ঠস্বর হয়েও, আমি আমার সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে যে সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছি, তা কল্পণাতীত। তাদের প্রতিক্রিয়ায় আমি বুঝতে পেরেছি যে, আমার পরিচালিত সেসব আলোচনায় আসলে কত কত মানুষ জড়িয়ে ছিলেন। এতেই প্রমাণ হয় যে, গণ মাধ্যমে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কণ্ঠস্বর, ও সংস্কৃতি এবং অভিজ্ঞতার উপস্থাপনা কতখানি প্রভাবশালী হতে পারে।
২০২০-তে, রেডিও মিলনে একজন আর. জে. হিসাবে কাজ করার প্রায় তিন বছর পর, আমি আমার কাজের পরবর্তী পর্যায়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। কী করতে চাই, সে সম্পর্কে আমি নিশ্চিত ছিলাম না, তাই আমি আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাস করতে গ্রামে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। তখন ছিল COVID-19-এর শীর্ষপর্ব। দেশজুড়ে বইছিল অনিশ্চয়তা এবং ভয়ের বাতাস। আমার গ্রামের লোকেরা মহামারীটি স্বীকার করতে চাননি। তাঁদের বিশ্বাস ছিল যে, তাঁরা সুস্থ। তাঁরা এও ভেবেছিলেন যে, COVID-19 হল ‘শহুরে রোগ’। শহর থেকে দূরে বাস করার ফলে তাঁদের কখনওই এই রোগ হবে না । বুঝলাম যে, খবরের সঠিক উৎসের অনুপস্থিতিতে মানুষ কানে-শোনা কথার উপর নির্ভর করছেন। এমনকী, অনেকে ভ্যাকসিন নিতেও অস্বীকার করছেন। আমি চেষ্টা করতাম COVID-19 সম্পর্কে যে কোনও ভুল তথ্য ধরিয়ে দেওয়ার, এবং আমার আশেপাশের লোকেদের ভ্যাকসিন নিতে রাজি করানোর । ক্রমে কমিউনিটি রেডিওর প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারলাম। আমার সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য এমন একটি তথ্যের উৎস দরকার ছিল, যা তাঁরা বিশ্বাস ভরে রোজ শুনবেন। একমাত্র কমিউনিটি রেডিওই এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে মিথ্যা তথ্যের জাল ভেদ করতে পারে।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
আমি বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায় আমার নিজস্ব অনলাইন রেডিও চালু করার কাজ করছি। পরিকল্পনা আছে, আমাদের সমাজে প্রচলিত, বাল্যবিবাহ সহ নানান সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বিস্তার করার । যদিও, চ্যানেলটির লক্ষ্য শুধুমাত্র সাঁওতাল সমাজ নয়। আমি অন্যান্য উপজাতীয় সম্প্রদায়কেও এর অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। ‘উপজাতীয়’ শব্দটি তো অনেকেই ভুল ব্যাখ্যা করেন। সমজাতীয় গোষ্ঠী হিসেবে, আমাদেরকে এক ছাতার তলায় দাঁড় করানো হয়েছে । এই ধারণা ভেঙ্গে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য। ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে ৩০-টিরও বেশি উপজাতি রয়েছে। গণ মাধ্যমে যাদের উপস্থিতি অতি নগণ্য। আমি এই ধরনের সমস্ত সম্প্রদায়কে আমন্ত্রণ জানাতে চাই, তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলার জন্য। অডিও মাধ্যম ছাড়াও, আমি সাঁওতালি উপজাতির জন্য সাংস্কৃতিক তাৎপর্যপূর্ণ বিভিন্ন সাঁওতালি ঐতিহ্য, যেমন ধনুক ও তীর ব্যবহার নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরির কাজ করছি। কী কী অনুশীলনে ধনুক এবং তীর ব্যবহার করা হয়, এবং কেন; তাদের ঐতিহাসিক প্রাসঙ্গিকতা; কীভাবে তা তৈরি করা হয়—এই সমস্ত বিষয় আমরা ডকুমেন্টারিতে রাখছি। আমাদের কাছে বিভিন্ন ধরণের তীর রয়েছে, যেগুলি বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। তীরগুলি মানুষের জন্ম এবং মৃত্যুর সময় নানান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন, জন্মের সময় একটি তীর দিয়ে শিশুর নাভি কাটা হয়। তবে, তরুণ প্রজন্ম এই রীতির সাথে পরিচিত নয়। আমাদের মতো সম্প্রদায়গুলি ক্রমাগত তাদের শিকড়ের সাথে যোগাযোগ হারাচ্ছে। আমি ভিডিও এবং অডিওর মাধ্যমে সেসব ঐতিহ্য এবং অনুশীলনগুলি নথিভুক্ত করতে চাই, যার কোনও খোঁজ জনপ্রিয় মিডিয়াতে মেলে না। তাতে একদিকে যেমন আমাদের নিজ-সম্প্রদায়ের মানুষ এইসব ঐতিহ্য নিত্যজীবনে পালন করতে পারবেন, অপরদিকে অন্যান্য সম্প্রদায়, এবং সারা বিশ্বের মানুষ তা সম্পর্কে জানতে পারবেন। এ কেবলমাত্র মিডিয়ার মাধ্যমেই ঘটতে পারে।
এই লেখাটি ইংরেজি থেকে একটি অনুবাদ টুল ব্যবহার করে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে এবং গীতিষা দাশগুপ্ত এটির পুনঃমূল্যায়ন এবং সম্পাদনা করেছেন।
—
আরও জানুন
- মিডিয়াতে প্রতিনিধিত্বের গুরুত্ব সম্পর্কে আরও পড়ুন।
- কীভাবে YouTube এর মাধ্যমে তার সম্প্রদায়ের কণ্ঠস্বর প্রসারিত করছেন সে সম্পর্কে জানুন যে ৷
- ভারতীয় নিউজরুমে প্রান্তিক জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব সম্পর্কে পড়ুন।
আরও কিছু করুন
- একটি পুরস্কার বিজয়ী শর্ট-ফিল্ম মিরু- তে শিখার প্রথম অভিনয় দেখুন।