READ THIS ARTICLE IN
আমরা উত্তরপ্রদেশের কুশিনগর জেলার ডোঘরা গ্রামের মুসাহার বস্তির বাসিন্দা। চিরাচরিতভাবে আমাদের জনগোষ্ঠীর জীবিকা মূলত মাঠে কায়িক শ্রমের ওপর নির্ভরশীল ছিল। আগে, আমরা বীজ রোপণ, বপন, আগাছা পরিষ্কার ও ফসল কাটার কাজে খেতমজুর হিসেবে কাজ পেতাম। এই কাজের মজুরি খুব কম হলেও মাঠে পড়ে থাকা শস্য কুড়িয়ে বাড়িতে আনতে পারতাম—এভাবেই আমাদের সংসার চলত।
কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় মানুষের জায়গা দখল করে নিয়েছে মেশিন। ফসল কাটার জন্য কম্বাইন হারভেস্টার (ফসল কাটার যন্ত্র) ব্যবহার করা হচ্ছে, এবং আগাছা নষ্ট করতে কীটনাশকের ব্যবহার করা হচ্ছে।
আগে যে কাজ করতে একাধিক মানুষের প্রয়োজন হতো, এখন সেই কাজ একটি মেশিনই করে দিচ্ছে। শুধু কৃষিকাজেই নয়—গ্রামে মাটি, ইট, পাথর বহনের মতো অন্যান্য কায়িক শ্রমের কাজও এখন জিপসি গাড়ি দিয়ে করা হচ্ছে।
এই সংকট গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে, কারণ ক্ষেতে বীজ বপন ও ফসল কাটার কাজে তাঁদের বড় ভূমিকা ছিল। এখন, যন্ত্রের কারণে মহিলাদের কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে দু’বেলার খাবার জোগাড় করাও তাঁদের কাছে এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।
আমাদের নিজস্ব কোনো জমি নেই। এই অবস্থায়, যদি সব কাজ মেশিনের সাহায্যেই হয়ে যায়, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ কী? আমরা কীভাবে আমাদের সন্তানদের খাওয়াব, পড়াব, আর সংসারের খরচ চালাব? গ্রামে এখন বেশিরভাগ দিনমজুরের কাজ মেশিনের মাধ্যমে করে নেওয়ার ফলে, আমাদের মতো অনেক মানুষের জীবিকা চরম ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
চিন্তা দেবী ও রামাবতী দেবী হলেন খতমজুর।
দুর্গা ও রামবৃক্ষ গিরি এই লেখায় সহায়তা করেছেন।
এই নিবন্ধটির অনুবাদ এবং রিভিউ করেছে Shabd AI।
—
আরও জানুন: ছত্তিশগড়ে কীভাবে বাইগা জনগোষ্ঠীর মানুষদের খেতমজুরের কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, সে সম্পর্কে পড়ুন।